ডায়াবেটিস? নিয়মিত মাশরুম খান
সম্প্রতি একটি গবেষণায় এমনটাই প্রমাণিত। দৈনন্দিন মাশরুম খেলে অন্ত্রে গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার উন্নতি করতে পারে এমন উপকারী জীবাণুর সংখ্যা বাড়ে।
সাদা বোতাম মাশরুম আখেরে আমাদের অন্ত্রের জন্য ভীষণই উপকারী। সম্প্রতি একটি গবেষণায় এমনটাই প্রমাণিত। দৈনন্দিন মাশরুম খেলে অন্ত্রে গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার উন্নতি করতে পারে এমন উপকারী জীবাণুর সংখ্যা বাড়ে। গ্লুকোজের নিয়ন্ত্রণের ফলে ডায়াবেটিসও নিয়ন্ত্রণে থাকে। পেনসিলভ্যানিয়া স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মার্গারিটা টি ক্যান্টোর্নার কথা অনুযায়ী, গবেষণার জন্য ইঁদুরদের নিয়মিত মাশরুম খাইয়ে দেখা গিয়েছে তাদের অন্ত্রে মাইক্রোবস বা মাইক্রোবায়োটার কম্পোজিশন পালটে গিয়েছে। আরও বেশি পরিমাণ ফ্যাটি অ্যাসিড উৎপাদিত হয়েছে, বিশেষ করে সুসিনেট ও প্রোপায়োনেট।
আগের গবেষণায় দেখানো হয়েছে যে, সুসিনেট ও প্রোপায়োনেট গ্লুকোজ উৎপাদন পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় জিনের অভিব্যক্তি ঘটায়।
“অন্যান্য বিপাকীয় রোগের পাশাপাশি, ডায়াবেটিসের ক্ষেত্রে গ্লুকোজ পরিচালনা করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।” ক্যান্টর্না উল্লেখ করেন।
জার্নাল অফ ফাংশানাল ফুডস-এর গবেষণায় প্রধাণত দুই ধরনের ইঁদুর ব্যবহার করা হয়েছে, এঁদের রোজই মাশরুম খাওানো হত। একটি গ্রুপে ছিল মাইক্রোবায়োটা, অন্যরা ছিল জিরাম মুক্ত।
মাশরুম অন্ত্রের ব্যাকটেরিয়া মধ্যে এক টানা বিক্রিয়া সৃষ্টি করে। যার ফলে প্রিভোটেলার উৎপাদন বেড়ে যায়। প্রিভোটেলা হল এমন এক ব্যাকটেরিয়া যা প্রোপায়োনেট আর সুসিনেট উৎপাদন করে। এই অ্যাসিড গুলি মস্তিষ্কে এবং অন্ত্রের মধ্যবর্তী পথের জিনের অভিব্যক্তি ঘটায়। যা আবার গ্লুকোজ, বা গ্লুকোনিওজেনেসিসের উৎপাদন পরিচালনা করতে সাহায্য করে। মাশরুম, এই ক্ষেত্রে একটি প্রিবায়োটিক হিসাবে পরিবেশন করা। এমন একটি পদার্থ যা অন্ত্রে আগে থেকেই উপস্থিত উপকারী ব্যাকটেরিয়ার কাজে লাগে। প্রোবায়োটিক গুলি হল উপকারী ব্যাকটেরিয়া যা পাচনতন্ত্রের মধ্যে থেকে যায়।
মাশরুমের এই প্রোবায়োটিক গুরুত্ব ছাড়াও এই গবেষণায় প্রমাণিত যে, খাদ্য এবং মাইক্রোবায়োটার মধ্যে নিবিড় যোগও রয়েছে। ক্যান্টর্নার কথায়, “এটা খুব স্পষ্ট যে খাবারে ছোটখাটো কোনও পরিবর্তন হলেই মাইক্রোবায়োটা পরিবর্তিত হয়।”
Leave a Reply